২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা | List of Public Holidays For 2025

২০২৫ সাল এক নতুন প্রত্যাশা ও সম্ভাবনার বছর। প্রতিটি বছরই আমাদের জন্য কাজের ব্যস্ততা ও জীবনের নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে, কিন্তু এর পাশাপাশি সরকারি ছুটির দিনগুলো আমাদের জন্য বিশ্রাম, আনন্দ এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ নিয়ে আসে। তাই, এই ছুটির দিনগুলো সঠিকভাবে পরিকল্পনা করা জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকায় উল্লেখিত ছুটির দিনগুলো বিভিন্ন ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসবের সাথে সম্পর্কিত। এই দিনগুলোতে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা ছুটি ভোগ করেন। এই ছুটির দিনগুলো একদিকে যেমন বিশ্রামের সুযোগ দেয়, তেমনি অন্যদিকে আত্মীয়স্বজন ও প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানোর মুহূর্ত এনে দেয়।

এই ব্লগপোস্টে আমরা ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা বিশদভাবে উপস্থাপন করব। পাশাপাশি, কীভাবে এই ছুটির দিনগুলোকে সবচেয়ে কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যায়, সে সম্পর্কেও দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে। তাই, চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই বছরের ছুটির দিনগুলো এবং এগুলোকে উদযাপনের সেরা উপায়।

২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা

বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে।

Ministry of Planning তে প্রকাশিত নিম্নে ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা টেবিল আকারে উপস্থাপন করা হলো:

২০২৫ সালের সাধারণ ছুটির তালিকা

বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে ২০২৫ সনে মোট ১২ দিন সাধারণ ছুটি থাকবে। নিচের চকে ২০২৫ সালের সাধারণ ছুটির তালিকা দেওয়া হল।

তারিখছুটির পর্বের নাম
২১ ফেব্রুয়ারিশহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
২৬ মার্চস্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস।
২৮ মার্চজুমাতুল বিদা।
৩১ মার্চঈদ-উল-ফিতর।
১ মেমে দিবস।
১১ মেবুদ্ধ পূর্ণিমা (বৈশাখী পূর্ণিমা)।
৭ জুনঈদ-উল-আযহা।
১৬ অগাস্টজন্মাষ্টমী।
৫ সেপ্টেম্বরঈদ-ই মিলাদুন্নবী (সাঃ)।
২ অক্টোবরদুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী)।
১৬ ডিসেম্বরবিজয় দিবস।
২৫ ডিসেম্বরযিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন)।

২০২৫ সালের নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটির তালিকা

বাংলা নববর্ষ ও গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষ্যে ২০২৫ সালে মোট ১৪ দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকবে।

নীচে ২০২৫ সালের উল্লেখিত ছুটির দিনগুলো একটি টেবিল আকারে উপস্থাপন করা হলো:

তারিখদিনছুটির নামবিস্তারিত
১৫ ফেব্রুয়ারিশনিবারশব-ই-বরাতধর্মীয় ছুটি
২৮ মার্চশুক্রবারশব-ই-ক্বদরধর্মীয় ছুটি
২৯ মার্চশনিবারঈদ-উল-ফিতরঈদের আগের দিন
৩০ মার্চরবিবারঈদ-উল-ফিতরঈদের দিন
১ এপ্রিলসোমবারঈদ-উল-ফিতরঈদের পরের দিন
২ এপ্রিলমঙ্গলবারঈদ-উল-ফিতরঈদের পরের দিন
১৪ এপ্রিলসোমবারবাংলা নববর্ষজাতীয় উৎসব
৫ জুনবৃহস্পতিবারঈদ-উল-আযহাঈদের আগের দিন
৬ জুনশুক্রবারঈদ-উল-আযহাঈদের দিন
৮ জুনরবিবারঈদ-উল-আযহাঈদের পরের দিন
৯ জুনসোমবারঈদ-উল-আযহাঈদের পরের দিন
১০ জুনমঙ্গলবারঈদ-উল-আযহাঈদের পরের দিন
৬ জুলাইরবিবারআশুরাধর্মীয় ছুটি
১ অক্টোবরবুধবারদুর্গাপূজা (নবমী)ধর্মীয় ছুটি

* তারকা চিহ্নিত তারিখগুলো চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল।

২০২৫ সালের ঐচ্ছিক ছুটি

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা নিজ নিজ ধর্ম অনুসারে প্রতি বছরে সর্বোচ্চ ৩ (তিন) দিনের ঐচ্ছিক ছুটি গ্রহণ করতে পারবেন। তবে, এই ছুটি ভোগের জন্য বছরের শুরুতেই উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। কর্মচারীরা সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে ঘোষিত সরকারি ছুটি বা সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে এই ঐচ্ছিক ছুটি যুক্ত করে তা ভোগ করতে পারবেন।

যেসব অফিস বা প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব নিয়ম-কানুন দ্বারা পরিচালিত হয় কিংবা যেসব সংস্থা ও অফিসকে সরকার অত্যাবশ্যক ঘোষণা করেছে, সেসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের আইন ও জনস্বার্থ বিবেচনা করে এই ছুটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

ঐচ্ছিক ছুটি [মুসলিম পর্ব]:

  • ১৮ জানুয়ারি ২০২৫: শব-ই-মিরাজ। *
  • ৩ এপ্রিল ২০২৫: ঈদ-উল-ফিতরের তৃতীয় দিন। *
  • ১১ জুন ২০২৫: ঈদ-উল-আযহার চতুর্থ দিন। *
  • ২০ অগাস্ট ২০২৫: আখেরি চাহার সোম্বা। *
  • ৪ অক্টোবর ২০২৫: ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম। *

* তারকা চিহ্নিত তারিখগুলো চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল করবে।

ঐচ্ছিক ছুটি [হিন্দু পর্ব]:

  • ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: সরস্বতী পূজা।
  • ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: শিবরাত্রী ব্রত।
  • ১৪ মার্চ ২০২৫: দোলযাত্রা।
  • ২৭ মার্চ ২০২৫: হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব।
  • ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫: মহালয়া।
  • ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫:  দুর্গাপূজা (অষ্টমী ও নবমী)।
  • ৬ অক্টোবর ২০২৫: লক্ষ্মীপূজা।
  • ২০ অক্টোবর ২০২৫: শ্যামা পূজা।

ঐচ্ছিক ছুটি [খ্রিস্টান পর্ব]:

  • ১ জানুয়ারি ২০২৫: ইংরেজি নববর্ষ।
  • ৫ মার্চ ২০২৫: ভস্ম বুধবার।
  • ১৭ এপ্রিল ২০২৫: পুণ্য বৃহস্পতিবার।
  • ১৮ এপ্রিল ২০২৫: পুণ্য শুক্রবার।
  • ১৯ এপ্রিল ২০২৫: পুণ্য শনিবার।
  • ২০ এপ্রিল ২০২৫: ইস্টার সানডে।
  • ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫: যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগের ও পরের দিন) হচ্ছে খ্রিস্টান পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি।

ঐচ্ছিক ছুটি [বৌদ্ধ পর্ব]:

  • ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: মাঘী পূর্ণিমা। *
  • ১৩ এপ্রিল ২০২৫: চৈত্র সংক্রান্তি।
  • ১০ ও ১২ মে: বুদ্ধ পূর্ণিমা (বুদ্ধ পূর্ণিমার আগের ও পরের দিন)।
  • ৯ জুলাই ২০২৫: আষাঢ়ি পূর্ণিমা। *
  • ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫: মধু পূর্ণিমা। *
  • ৫ অক্টোবর ২০২৫: প্রবারণা পূর্ণিমা (আশ্বিনী পূর্ণিমা)। *

* তারকা চিহ্নিত তারিখগুলো চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ও এর বাইরে কর্মরত ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য:

পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে থাকা কর্মরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির মধ্যে রয়েছে ১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীগুলোর অনুরূপ সামাজিক উৎসবে এর দিন ঐচ্ছিক ছুটি থাকবে।

এই ছুটির তালিকা অনুযায়ী, ২০২৫ সালে সরকারি কর্মচারীরা মোট ২৬ দিন ছুটি উপভোগ করবেন। তবে, কিছু ছুটি সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোর সাথে মিলিত হওয়ায় কার্যকর ছুটির সংখ্যা কম হতে পারে।

এছাড়া, মুসলিম ধর্মীয় ছুটির তারিখ চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল হওয়ায়, সেগুলোতে পরিবর্তন হতে পারে। তাই, চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

ছুটির দিন কিভাবে কাজে লাগাবেন?

২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, কর্মচারীরা ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কাজের জন্য ছুটি পরিকল্পনা করতে পারবেন। এছাড়াও, ছুটির দিনগুলোতে দেশের বিভিন্ন স্থানে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে পারেন। অনেকেই ঈদ বা অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে সময় কাটানোর জন্য এই ছুটিগুলোকে কাজে লাগিয়ে থাকেন।

সরকারি ছুটির তালিকায় উল্লেখিত তারিখগুলোর মধ্যে কয়েকটি বিশেষ দিন, যেমন শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস এবং পহেলা বৈশাখ, জাতীয়ভাবে উদযাপিত হয়। এসব দিনে স্কুল, কলেজ, অফিস এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিনগুলো উদযাপন করা হয়।

ছুটির তালিকায় থাকা ধর্মীয় ছুটিগুলোর মধ্যে শব-ই-কদর, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, এবং ঈদে মিলাদুন্নবী বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এই দিনগুলোতে মুসলমানরা ধর্মীয় প্রার্থনা ও উৎসবের মাধ্যমে দিন উদযাপন করে। তদ্রূপ, বুদ্ধ পূর্ণিমা, বিজয়া দশমী, এবং বড়দিন অন্যান্য ধর্মের মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিন।

২০২৫ সালে যারা ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক, তারা ছুটির দিনগুলো আগে থেকে নির্ধারণ করে ট্রেন বা বাসের টিকিট বুকিং এবং হোটেল রিজার্ভেশন করতে পারেন। অনেক সময় ছুটির দিনগুলোর কারণে যাতায়াত এবং থাকার খরচ বেড়ে যায়, তাই আগাম পরিকল্পনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পরিশেষে, সরকারি ছুটির তালিকাটি সবার জন্য একটি গাইড হিসেবে কাজ করে। এই তালিকাটি কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত সময়ের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক। তাই ছুটির দিনগুলো সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে সময়টিকে আরও অর্থবহ করা সম্ভব।

২০২৫ সালের সরকারি ছুটির দিনগুলোকে কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিম্নে দেওয়া হলো:

১. অগ্রিম পরিকল্পনা করুন

সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, আগে থেকেই আপনার ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক কাজের সময়সূচি নির্ধারণ করুন। এটি আপনার সময় সাশ্রয় করবে এবং কাজের চাপ কমাবে। বিশেষ করে যারা দূর-দূরান্তে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তাদের জন্য অগ্রিম টিকিট ও হোটেল বুকিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২. উপযুক্ত বাজেট তৈরি করুন

ভ্রমণ বা উৎসবের জন্য সঠিক বাজেট তৈরি করুন। ছুটির দিনগুলোতে অনেক সময় পরিবহন ও হোটেল ভাড়ার খরচ বৃদ্ধি পায়। তাই, আগেভাগে পরিকল্পনা করে বাজেট নির্ধারণ করুন যাতে আর্থিক চাপ থেকে মুক্ত থাকা যায়।

৩. পরিবারের সাথে সময় কাটান

সরকারি ছুটির দিনগুলো পরিবার ও প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটানোর আদর্শ সময়। কাজের ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় পরিবারের সাথে যোগাযোগ কমে যায়। এই ছুটির দিনগুলোতে একত্রে বসে খাওয়া, গল্প করা, বা একটি ছোট পিকনিকের আয়োজন করতে পারেন।

৪. স্বাস্থ্য ও বিশ্রাম নিন

ছুটির দিনগুলো বিশ্রামের জন্য ব্যবহার করুন। দিনের পর দিন কাজের চাপ শরীর ও মনের উপর প্রভাব ফেলে। তাই ছুটির দিনগুলোতে পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক স্বস্তি বজায় রাখার চেষ্টা করুন।

৫. ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণ করুন

যারা ভ্রমণপ্রিয়, তারা ছুটির দিনগুলোতে দেশের ঐতিহাসিক বা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। যেমন কক্সবাজার, সুন্দরবন, সিলেটের জাফলং, বা রাজশাহীর ছোট সোনামসজিদ। এসব স্থানে ভ্রমণ শুধু আনন্দই দেয় না, বরং দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগও তৈরি করে।

৬. উৎসব উদযাপন

যেসব ছুটির দিন ধর্মীয় বা জাতীয় উৎসবের সাথে সম্পর্কিত, সেগুলো উদযাপনের মাধ্যমে একতা ও ভ্রাতৃত্ববোধকে আরও সুদৃঢ় করতে পারেন। পহেলা বৈশাখের মতো জাতীয় উৎসবে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে জাতীয় ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

৭. ছোট ব্যবসার জন্য সুযোগ

যারা ছোট ব্যবসার সাথে জড়িত, তারা ছুটির দিনগুলোতে বিক্রির জন্য বিশেষ অফার বা ছাড়ের ব্যবস্থা করতে পারেন। বিশেষ করে ঈদ, পহেলা বৈশাখ বা বড়দিনের সময় ব্যবসার সুযোগ বাড়ে।

৮. সমাজসেবামূলক কার্যক্রম

যদি আপনার সময় থাকে, তবে ছুটির দিনগুলোতে সমাজসেবামূলক কাজে অংশ নিতে পারেন। এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম বা গরিব মানুষদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন। এটি আপনার মনকে তৃপ্তি দেবে এবং সমাজের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

৯. চাঁদ দেখা সংক্রান্ত পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত থাকুন

ইসলামিক ছুটির দিনগুলো চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। তাই এই ছুটির দিনগুলোর ক্ষেত্রে চূড়ান্ত তারিখ জানার জন্য চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা অনুসরণ করুন।

১০. শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনার পরিকল্পনা

ছুটির দিনগুলো শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য নয়, শিক্ষার্থীরা এই সময়ে পড়াশোনার ঘাটতি পূরণের জন্য এটি কাজে লাগাতে পারে। পরীক্ষা বা অন্য কোনো শিক্ষামূলক প্রস্তুতির জন্য এই দিনগুলোকে পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবহার করা যায়।

ছুটির দিনগুলো সঠিকভাবে কাজে লাগালে এটি কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবনের মধ্যে একটি ভারসাম্য আনতে সাহায্য করবে। সরকারি ছুটির তালিকাটি দেখে আগে থেকেই একটি সুন্দর পরিকল্পনা তৈরি করুন এবং সময় উপভোগ করুন।

আরও পড়ুনঃ ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার রুটিন এবং প্রস্তুতি: SSC Routine 2025

উপসংহার

২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা আমাদের কাজের ব্যস্ত জীবনের মাঝে কিছুটা স্বস্তি এবং আনন্দ নিয়ে আসে। প্রতিটি ছুটির দিন শুধুমাত্র বিশ্রামের জন্য নয়, বরং এটি পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, এবং নিজের জন্য সময় ব্যয় করার একটি অনন্য সুযোগ। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এই দিনগুলোকে স্মরণীয় করে তোলা সম্ভব।

জাতীয় ও ধর্মীয় উৎসবগুলো আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে। পাশাপাশি, এই ছুটির দিনগুলো আমাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তবে, ছুটির দিনগুলোকে শুধু বিনোদনের জন্য নয়, সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন, নতুন দক্ষতা অর্জন বা নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্যও কাজে লাগানো উচিত। সঠিক পরিকল্পনা, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এই দিনগুলোর পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সাহায্য করবে।

আশা করি, এই ব্লগপোস্টটি আপনাদের ২০২৫ সালের ছুটির দিনগুলোর জন্য একটি কার্যকরী গাইড হিসেবে কাজ করবে। পরিকল্পনা করুন, সময়কে সার্থক করুন এবং জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করুন।

আমি ইলিয়াস আহমেদ একজন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, আমি অনলাইন ইনকাম, পেনশন, মোবাইল ব্যাংকিং, ব্যাংক লোন এবং প্রযুক্তির নানা বিষয় নিয়ে লেখালেখি করি। আমার লেখায় সহজ এবং প্রাঞ্জল ভাষায় পাঠকদের জন্য উপকারি তথ্য সরবরাহ করি, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে সহায়ক হয়। আমি প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক বিষয়ে গভীর জ্ঞান অর্জন করে সেই জ্ঞান সকলের সাথে ভাগ করে নিতে বিশ্বাসী।

Leave a Comment